এমন সময় অ্যাডজুট্যান্ট এসে কমান্ডারকে জানাল, সিজিএস ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ টেলিফোন ধরে আছেন, ব্রিগেড কমান্ডারকে চাইছেন। কমান্ডার সিওর অফিসে ঢুকে টেলিফোনে সিজিএসের সঙ্গে কথা বললেন, নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানালেন। বললেন, ‘স্যার, ১ম বেঙ্গলে চলে আসুন।’
মিনিট পনেরো পর সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সিজিএস খালেদ ১ম বেঙ্গলে এসে সিওর রুমে ঢুকলেন। মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্সের কমান্ডার খালেদ, আর্টিলারি শেলের টুকরা তাঁর মাথায় আঘাত হেনেছিল। কপালে ক্ষতচিহ্ন তাঁর লম্বাটে মুখের প্রধান বৈশিষ্ট্য। দীর্ঘকায়, সুঠামদেহী, সুদর্শন অফিসার। আসামাত্র সবাই তাঁকে ঘিরে ধরে। একই জিজ্ঞাসা, হচ্ছেটা কী? হোয়াট ইজ হ্যাপেনিং? খালেদ জানালেন, ২য় ফিল্ড আর্টিলারি এবং ১ম বেঙ্গল ল্যান্সারের সৈনিকেরা গান ও ট্যাংক নিয়ে শহরে মুভ করেছে গত রাতে এবং সূর্যোদয়ের কিছু আগে ৩২ নম্বরে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করেছে!
কর্নেল শাফায়াত সিজিএসকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ট্যাংক রেজিমেন্ট তো আপনার অধীন, আমার ইউনিট এলাকায় ট্যাংক পজিশন নিয়েছে কেন?’
‘তারা আমার নির্দেশ ছাড়াই মুভ করেছে, দে আর রেবেলস।’ খালেদ বললেন!
‘এখন আমাদের করণীয় কী?’ শাফায়াত বললেন।
খানিকক্ষণ চিন্তা করে খালেদ বললেন, ‘লেট আস বারগেইন উইথ দেম।’