আহমেদ বলেন, এখন তাঁদের জীবন ‘নরক’ হয়ে উঠেছে। ‘আমরা এমন অপরাধের শাস্তি পাচ্ছি, যা আমরা করিনি। প্রকৃত দোষীদের ধরুক, আমিও তা–ই চাই। কিন্তু নিরপরাধ ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে ওরা কাশ্মীরিদেরই বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। আমি কাশ্মীর ছাড়তে চাই। কিন্তু ভারতের অন্যত্রও তো আমরা নিরাপদ নই। ওখানেও আমাদের টার্গেট করা হয়।’
কাশ্মীরের আরেক বাসিন্দা সুমাইয়া জান। নিজের আসল নাম তিনি প্রকাশ করতে চাননি নিরাপত্তার জন্য। তিনি বলেন, হামলার কয়েক দিন পর পুলিশ ও সেনারা তাঁদের বাড়িতে হানা দেয়, কোনো পরোয়ানা ছাড়াই।
সুমাইয়ার বাবা একজন কৃষক। কারও সাতপাঁচে থাকেন না তিনি। জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের তো প্রশ্নই ওঠে না। তাঁকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘ওরা আমাদের ঘরের সবকিছু ওলট–পালট করে ফেলল। ঘরের ভেতর তছনছ করেও কিছু পেল না। তবু বাবাকে ধরে নিয়ে গেল। আমাদের দেখা করতে দিচ্ছে না। কোনো স্পষ্ট অভিযোগও জানাচ্ছে না’, বললেন সুমাইয়া।