ইউক্রেন নিয়ে বৈঠকে কোনো উপসংহারে পৌঁছানো না গেলেও লাভরভ বলেন, ‘আমরা শুধু শুনিনি, আমরা প্রকৃতপক্ষে একে অন্যকে মনোযোগ দিয়ে শুনেছি।’
বৈঠকে ইউক্রেনের কোনো প্রতিনিধিকে ডাকা হয়নি। ইউরোপের কোনো রাষ্ট্র কিংবা সংস্থার প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই প্রত্যাখ্যান ইউরোপের জন্য বজ্রঝড় বয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। ফ্রান্স তড়িঘড়ি করে ‘জরুরি’ বৈঠক (যদিও বৈঠকে ন্যাটোর সেই সব সদস্যরাষ্ট্রকে ডাকা হয়নি, যেগুলো ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করে) ডাকে।
ন্যাটো মহাপরিচালক মার্ক রুট প্যারিসের সেই বৈঠকে যোগ দেন। ন্যাটোর অনেক সদস্যরাষ্ট্রকে যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সেখানে কেন তিনি যোগ দিলেন, সেটা স্পষ্ট নয়।
প্যারিস বৈঠকে একটা ফলাফল এসেছে। সেটা হলো, ইউক্রেনে ‘শান্তিরক্ষার’ অংশ হিসেবে সেনা পাঠানোর ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও লন্ডন প্রাথমিকভাবে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে ব্যাপারে কঠোর ভাষায় বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে শান্তি রক্ষার কাজে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর জন্য যুক্তরাজ্য যখন প্রস্তাব দিয়েছিল, তখনই জার্মানি, ইতালি ও পোল্যান্ড বিরোধিতা করেছিল।
রিয়াদ বৈঠকের পর রাশিয়া এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারটা স্পষ্ট করেছে যে শান্তিরক্ষী হিসেবে ন্যাটোর সেনাদের তারা স্বাগত জানাবে না।