সিরিয়া কি খণ্ড বিখণ্ড হতে যাচ্ছে


যুক্তরাষ্ট্র আগে এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সির সময় যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেছিল, এইচটিএস আর তাদের সক্রিয় নিশানার তালিকায় নেই। 

আলেপ্পার এই আক্রমণ এমন সময়ে হয়েছে, যখন আসাদের মিত্ররা (ইরান, রাশিয়া ও হিজবুল্লাহ) দ্রুত সাহায্যের জন্য পর্যাপ্ত সেনা বা সম্পদ মোতায়েন করার অবস্থায় নেই। আসাদের সেনাবাহিনীও বারবার প্রমাণ করেছে, তারা লড়াইয়ে তেমন সক্ষম নয়। 

আলেপ্পো লক্ষ্য করে বিদ্রোহীদের এই আক্রমণের ছক যদিও অনেক আগেই কষা হয়েছিল, তারপরও ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েক দিন পরই এই হামলা শুরু হওয়াকে মোটেও কাকতালীয় ঘটনা হিসেবে দেখা যাচ্ছে না। 

আমাদের মনে রাখতে হবে, হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যে তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের বড় অংশ হারিয়েছে। তাদের অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তাদের যুদ্ধ সরঞ্জামের মজুতও গুরুতরভাবে কমে গেছে। 

এ অবস্থায় হিজবুল্লাহ আসাদকে সহায়তা দেওয়ার অবস্থায় নেই। সিরিয়ার সংঘাতে জড়িয়ে এমনিতেই তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা নজরদারির ঝুঁকিতে পড়েছে। এমন অবস্থায় তাদের হাতে পর্যাপ্ত সম্পদ থাকলেও তারা নতুন করে আরেকটি সংঘাতে জড়াতে চাইবে না। 

রাশিয়ার ক্ষেত্রেও প্রায় একই অবস্থা। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনে আটকে পড়েছে। যেখানে তাদের সেরা জেনারেল ও সেনাদের মোতায়েন রাখতে হচ্ছে। ফলে সিরিয়ার ‘নীরব’ ফ্রন্টে সামরিক সহায়তা দেওয়ার মতো সাধ্য তাদেরও নেই। 

যদিও কিছু রুশ বিমান ও সামরিক সরঞ্জাম সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তা সম্ভবত খুবই অপ্রতুল এবং তা এসেছেও অনেক দেরিতে। ফলে বিদ্রোহীদের আক্রমণ থামানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়। 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *