সাইক্লোস্টাইল যন্ত্রটি মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী


বিএম কলেজের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম গতকাল দুপুরে এসেছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটেতে। নাঈম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে যন্ত্রটির (সাইক্লোস্টাইল) কথা শুনে আসছি। দেখার কৌতূহল ছিল। হাত দিয়ে ছুঁয়ে এক অজানা অনুভূতি পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের অনেক বছর পরে আমাদের জন্ম। তাই সব সময় একটা আকুতি থাকে, এই যুদ্ধের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর দেখার জন্য। এতে একটা অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে।’

এবার প্রদর্শনীতে ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় কুচকাওয়াজ করা ডামি বন্দুক, বরিশালে পাকিস্তানি সেনাদের নিক্ষেপ করা শেল, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শোনার রেডিও, প্রথম সংবিধানের কপি, প্রথম মানচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার কপি, আলোকচিত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য তৈরি করা মানচিত্র ও বইপত্র।
একাত্তরে তৎকালীন বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আজিজুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিয়ে সাইক্লোস্টাইল যন্ত্রটি সচিবালয়ে দেন। তিনিও সচিবালয়ের কাজে যোগ দেন। এমনকি নিজের ব্যবহৃত গাড়িটিও তিনি সচিবালয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য দিয়েছিলেন। পরে পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। কাজী আজিজুল ইসলামকে স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করা হয়েছে।

স্বাধীন বাংলার প্রথম সচিবালয়ের মাধ্যমে পুরো দক্ষিণাঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণসহ মুক্তিযুদ্ধকে একটি সশস্ত্র যুদ্ধে রূপ দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। বরিশালের সব বাঙালি সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ বিভাগ এই সচিবালয়ে এসে তাঁদের আনুগত্য প্রকাশ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছিলেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *