যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে তাতে পুতিন পরাজিত হবেন না। এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকা মানে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু। এর মানে হচ্ছে, ড্রোন, মিসাইল, বোমা আর গোলায় ইউক্রেনীয় শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া। লাখ লাখ ইউক্রেনীয়ও শরণার্থীর জীবন আরও দীর্ঘতর হওয়া।
পশ্চিমা সাংবাদিকেরা ইউক্রেনীয়দের সাহস ও সংকল্পের প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করছেন। তাঁরা ইউক্রেনীয় মনোবল চাঙা রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু যেসব ইউক্রেনীয় শান্তি আলোচনার পক্ষে, খুব কম ক্ষেত্রেই তাঁদের সাক্ষাৎকার তাঁরা নেন।
কিন্তু মিডিয়ার এই সেলফ–সেন্সরশিপ ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শান্তি আলোচনা কীভাবে শুরু করা যাবে?
ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ ছাড়া পুতিন কোনো যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে আগ্রহী নন। তাঁর সেনারা দনবাস অঞ্চলে ভূমি দখল অব্যাহত রেখেছে। তিনি তাদেরকে থামাতে আগ্রহী নন। ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। রাশিয়ার সেনারা সেই যুদ্ধক্ষেত্রেও ইউক্রেনীয়দের কাঁবু করে ফেলছে।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এক দিনেই যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। তাঁর অভিষেক হতে এখনো দুই মাস বাকি।
জানুয়ারি মাসে তিনি যদি জেলেনস্কি, ন্যাটো নেতাদের এবং পুতিনকে যুদ্ধবিরতি আর শান্তি আলোচনায় বসাতে পারেন, তাহলে তিনিই তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের সত্যিকার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন।