রানি এলিজাবেথ ভয় পেতেন কেবল একটা জিনিসেই


সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও পরিবারের সদস্যরা এই যান ব্যবহার করলে রানি তা পছন্দ করতেন না। মজার ব্যাপার হলো, চার্লস, এডওয়ার্ড ও অ্যান্ড্রু—অর্থাৎ তাঁর তিন ছেলেই ছিলেন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাইলট। সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তাঁর নাতি উইলিয়াম ও হ্যারিও। এমনকি প্রিন্স হ্যারি হেলিকপ্টার উড়িয়েছেন আফগানিস্তানেও। সিংহাসনের উত্তরাধিকার হওয়ায় প্রিন্স উইলিয়ামের যুদ্ধে যাওয়া ছিল বারণ। তবে তিনি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অভিজ্ঞ পাইলট প্রিন্স উইলিয়াম একবার রানির অনুরোধ অমান্য করে তাঁর (প্রিন্স) পরিবারকে নিয়ে হেলিকপ্টারে ওঠেন। নিজে চালিয়ে পাড়ি দেন কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে নরফোকের আনমার হল, অর্থাৎ নিজের বাড়ি পর্যন্ত ১১৫ মাইল দূরের পথ। এতে রানি বেজায় বিরক্ত হন।

রাজপরিবারের জীবনীকার, লেখক ও সাংবাদিক রবার্ট জবসন তাঁর বই ‘ক্যাথরিন, দ্য প্রিন্সেস অব ওয়েলস: আ বায়োগ্রাফি অব দ্য ফিউচার কুইন’-এ একজন সহকারীর বরাত দিয়ে লিখেছেন, ১৯৬৭ সালের দুর্ঘটনা রানিকে সব সময় তাড়া করে বেড়াত। পরে রাজা চার্লসও রানির এই দুশ্চিন্তার বিষয়ে কথা বলেছেন। প্রিন্স উইলিয়াম যখন পারিবারিক হেলিকপ্টার-যাত্রা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান, তখন ঝুঁকি স্বীকার করে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার নেওয়ার ব্যাপারে একটি নথিতে স্বাক্ষর করতে তাঁকে বাধ্য করেন বর্তমান রাজা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *