রংপুরে হামলার দুই দিন পরও মামলা হয়নি, প্রশাসনের উদ্যোগে বসতবাড়ি মেরামত


তবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। হিরনবালা রানী নামের এক নারী বলেন, ‘কাপড়চোপড়, জিনিসপত্র সব নিয়ে গেছে, কিচ্ছু নেই ঘরোত। এল্যা ঘরের বেড়া ভালো করে দিলে কী হবে?’

আজো বালা নামের আরেকজন বলেন, ‘কাজ করি ভাত খাই। আতঙ্কে কাজ করবার পাই নাই। নিন (ঘুম) পাড়বার পাই না। দুটা মেয়ে বড় হয়েছে। ওদের নিয়ে ভয়ে থাকি।’

আলদাদপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও আলদাদপুর নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাশেই এ হামলার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই দুই বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। ওই ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয় শিক্ষার্থী আসছে না। আলদাদপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ অধিকারী বলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে বাচ্চারা ভয় পায়। তাঁরা স্কুলে আসছে না।

আলদাতপুর নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কালী রঞ্জন রায় বলেন, প্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। গতকাল সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে পুনরায় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *