গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমার নীতি স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাগুলো সামরিক সরকারকে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে। এতে যুদ্ধবাজ গোষ্ঠী, মানব পাচারকারী, মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র চোরাচালানকারী এবং বন্য প্রাণী পাচারকারীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে মিয়ানমার আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ আফিম উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে।
গ্লোবাল অর্গানাইজড ক্রাইম ইনডেক্স অনুযায়ী, মিয়ানমার এখন বিশ্বের বৃহত্তম সংগঠিত অপরাধী চক্রের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও থাইল্যান্ডেও পড়ছে। মিয়ানমারের বিভক্ত প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দেশটির মানবাধিকার সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে। বাস্তবতা হলো, সর্বশেষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল এবার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে নয়, বরং জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাত থেকে পালিয়ে আসছে।
অতীতের দমন–পীড়নের জন্য পরিচিত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে না গিয়ে রোহিঙ্গারা এখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বিদ্রোহীদের হামলা এতটাই নিষ্ঠুর যে রোহিঙ্গা মিলিশিয়ারা এখন তাদের পুরোনো দমনকারীদের, অর্থাৎ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে।