সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া সাবেক আইনপ্রণেতাসহ দেশটির বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ গত মাসে এই নির্বাচনকে ‘প্রতারণামূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এর লক্ষ্য হলো সেনাশাসনের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা।
জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন সাংবাদিকদের কাছে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে বলেন, আজই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হলো, যাতে দেশটি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে পারে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন হলেও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং প্রেসিডেন্ট কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে থেকে যাবেন এবং সেই পদ থেকেই বাস্তবে দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবেন।
এরই মধ্যে একাধিক ঘোষণার মাধ্যমে একটি নতুন ‘ইউনিয়ন সরকার’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি কমিশন’ গঠনের কথা জানানো হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকি করবে। এগুলোর নেতৃত্বে থাকবেন মিন অং হ্লাইং নিজেই। তিনি আপাতত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় সামরিক প্রশাসনের এক অনুষ্ঠানে মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে প্রথম অধ্যায় অতিক্রম করেছি। এখন দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করছি।’