থানচিতে খেয়াং নারীকে হত্যার ঘটনায় বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আজ দুপুরে এ ঘটনায় দুর্বার নারী নেটওয়ার্ক, সুজন, উইমেন্স রিসোর্স সেন্টার, উইমেন্স অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম ও আদিবাসী ছাত্র সমাজের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। এর আগে জেলা শহরের রাজার মাঠে কয়েক শ তরুণ-তরুণী জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অং চ মং মারমা, উন্নয়নকর্মী লেলুং খুমি, দুর্বার নেটওয়ার্কের ডনাইপ্রু নেলী, উইমেন্স রিসোর্সের উলিচং মারমা, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি বিটন তঞ্চঙ্গ্যা, মানবাধিকারকর্মী জন ত্রিপুরা, জেমস বম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ি নারীদের ওপর নির্যাতনের কোনো ঘটনার বিচার হয়নি। হত্যাকারী ও ধর্ষকেরা শাস্তি পায়নি। এ জন্য এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে। তাঁরা অবিলম্বে খেয়াং নারীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খাগড়াছড়িতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি আদালত সড়ক হয়ে শাপলা চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এর আগে ১৮ এপ্রিল এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এক মাসের ব্যবধানে বান্দরবানের দুর্গম থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।