একদা যে শিবসেনা ছিল মহারাষ্ট্রের ভাগ্য নিয়ন্তা, রাজ ঠাকরের নতুন দল গঠন, বাল ঠাকরের মৃত্যু ও শিবসেনায় বিভাজন সেই দলকে ক্রমে দুর্বল করে তুলেছে। রাজ ঠাকরেও বুঝতে পেরেছেন, রাজ্য রাজনীতিতে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রক্ষা করে চলা কতটা দুষ্কর। ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এমএনএস ১৩টি আসন জিতেছিল। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভোটে তারা জেতে মাত্র ১টি করে আসন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে একটি কেন্দ্রেও এমএনএস প্রার্থীরা জিততে পারেননি। রাজ ঠাকরের পুত্র অমিত মাহিম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃতীয় হয়েছিলেন। রাজ্যে এমএনএস ভোট পেয়েছিল মাত্র ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে বিজেপির উত্থান শিবসেনাকেও দুর্বল করতে থাকে। একনাথ শিন্ডের দলত্যাগ এবং শিবসেনার ভাঙনকে হাতিয়ার করে বিজেপি হয়ে ওঠে ১ নম্বর রাজনৈতিক শক্তি। বিজেপির হিন্দি আগ্রাসনকে উপলক্ষ করে দুই ভাইয়ের কাছাকাছি আসা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার গরজেই।
মিলন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি। কিন্তু ক্ষয় রোধে দুই দলের একজোট হওয়া আবশ্যক, এই উপলব্ধি সম্ভবত দুজনেই করছেন। এই সম্ভাব্য মিলন সবচেয়ে চিন্তায় রাখবে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও তাঁর দল শিবসেনাকে। উদ্ধব ও রাজ জোট বাঁধলে শিন্ডেসেনায় কতটা ভাঙন ধরতে পারে, বিশেষ করে পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে তার কী প্রভাব পড়বে, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ঠাকরে ভাইয়েরা বিএমসির দখল নিলে নিশ্চিতভাবে পরবর্তী বিধানসভা ভোটে তার প্রভাব পড়বে। যদিও বিধানসভার পরের ভোট ২০২৯ সালে।