ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের চান্দেল জেলায় গতকাল বুধবার আসাম রাইফেলসের গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।


তবে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান সংগঠন কতটা শক্তিশালী বা তার শাখা সংগঠনগুলো কতটা মজবুত, তা জোর দিয়ে বলা মুশকিল। গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, এদের অধিকাংশই অত্যন্ত ছোট ও অসংগঠিত।

তবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সময়ে রাজ্য পুলিশের এক উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের হাতে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র রয়েছে, যেটা বেশ উদ্বেগের বিষয়।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছিলেন, এই সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব প্রধানত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যে কারণে তাদের পক্ষে আন্দোলন চলাকালে আরামবাই টেঙ্গোল নামে তাদের একটি অস্বীকৃত নিরাপত্তা প্রদানকারী সংগঠনের হাতে প্রভূত অস্ত্র তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।

ওই কর্মকর্তার বক্তব্য অনুসারে, সরকারের লক্ষ্য ছিল এই পুরোনো মাওবাদী ভাবধারার সংগঠনগুলোকে কুকি বা নাগা বিদ্রোহী সংগঠনের পাশাপাশি নিষ্ক্রিয় করা। সেই কাজ সেনাবাহিনী শুরু করে। এর ফলেই মণিপুরে নতুন করে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ, যাতে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও তাঁদের মধ্যে কতজন আসলেই জঙ্গি, সে সম্পর্কে সার্বিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *