জয় দাবি করার মতো মানুষের অভাব হয় না, কিন্তু পরাজয় কেউ মেনে নিতে চায় না। পারমাণবিক শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাময়িক সংঘাতের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। দুই পক্ষই নিজেদের সফলতার গল্পগুলো জোরেশোরে প্রকাশ করছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তারা অনেকটাই নিশ্চুপ।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের শিরোনাম ছিল, ‘পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করেছে।’ পরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, গত মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যে সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ‘সন্ত্রাসীদের’ একটি শক্ত বার্তা দিয়েছে।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর পাকিস্তান বাহিনীর ‘সফলতা’ উদ্যাপন করতে রাজপথে নেমে আসেন দেশটির মানুষ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো ভারতের বন্দুকগুলোকে যেভাবে থামিয়ে দিয়েছে, তা ইতিহাস থেকে শিগগিরই মুছে যাবে না।’