জন আলফ্রেড সারা জীবন ছিলেন লিভারপুল ফুটবল দলের সমর্থক। ১৯০১ ও ১৯০৬ ছাড়া ক্লাবটির জেতা সব কটি ট্রফির ম্যাচ উপভোগ করেছেন তিনি।
চলতি বছরের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জন আলফ্রেডকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের স্বীকৃতি দেয়।
এক বিবৃতিতে জনের পরিবার বলেছে, তাঁর অনেক সূক্ষ্ম গুণ ছিল। তিনি ছিলেন একাধারে বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সাহসী, যেকোনো সংকটে শান্ত, গণিতে মেধাবী ও একজন সদালাপী। এই গুণগুলো তাঁকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল আর্মি পেস কোরে সামরিক চাকরির সময় সুবিধা দিয়েছে। সেখানে তিনি হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষণ, আটকে পড়া সেনাদের শনাক্ত করা এবং খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করার মতো কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
জনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ব্লডওয়েনের পরিচয় হয় লিভারপুলে একটি নাচের অনুষ্ঠানে। ১৯৪২ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের কন্যা সুজানের জন্ম ১৯৪৩ সালে। এই দম্পতি ৪৪ বছর দাম্পত্য জীবন উপভোগ করেন। জনের স্ত্রী মারা যান ১৯৮৬ সালে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন আলফ্রেড রয়্যাল মেইলে কাজ করেন। পরে তিনি জ্বালানি তেল কোম্পানি শেল ও বিপিতে হিসাবরক্ষকের কাজ করেন এবং ১৯৭২ সালে অবসরে যান। জনের পরিবার বলেছে, অবসর নেওয়ার পরও তিনি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজে ছিলেন সক্রিয়।