এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ায় ব্যস্ত সড়কে অটোরিকশা দাঁড় করানো নিয়ে শহরের নারকেল আড়তদারদের সঙ্গে চালকদের বাগ্বিতণ্ডার জেরে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতার ওপর হামলা হয়। গতকাল ইফতারের আগে শহরের স্টেশন সড়কে মিতালী পাম্পের পাশে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত দুই শ্রমিক হলেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও সদস্য হযরত আলী।
শ্রমিক সমাবেশে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হামিদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘শ্রমিকদের কোনো বাহিনী দিয়ে দাবড়ানি দিতে হবে না। আমাদেরকে মারতে হবে না, ধরতেও হবে না। লাঠিপেটাও করতে হবে না। গাড়ির চাবি মালিককে দিয়ে আমরা ঘরে বসে থাকব। কেউ যদি মনে করেন, গাড়ি চালিয়ে সেবা দেবেন, তাতে আপত্তি নেই। কেউ যদি শ্রমিকের গায়ে হাত দেন, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। আলোচনার দরজা খোলা। আগামী তিন দিনের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় সব গাড়ি বন্ধ থাকবে।’
শ্রমিকনেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল থেকে বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে শহরের স্টেশন সড়কে কয়েকটি নারকেল আড়তে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে আসেন। তখন বিক্ষুব্ধ মোটরশ্রমিকেরা স্টেশন সড়কে তাঁদের কার্যালয়ের সামনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাঁদের সরিয়ে দেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নারকেলের আড়তের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।