তবে যা–ই হোক না কেন, ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি কাছাকাছি। গাজা, লেবানন বা ইরান—আসলে কোনো জায়গা থেকেই নেতানিয়াহুর জন্য সুসংবাদ আসছে না। নিজের দেশেও তিনি বিরোধিতার ঝড়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাঁর সেনাবাহিনী ক্লান্ত। সেখান থেকেও এখন মনে হয় বিরোধিতা আসবে। যেসব জিম্মি জীবিত আছেন, তাঁদের পরিবার হতাশ। নিজেদের আপনজনকে নিয়ে কেবল রাজনীতি করায় তাঁরা বিরক্ত। আদালতে আসছে সরকারের নামে দুর্নীতির অভিযোগ। বিরোধী দল নেতানিয়াহুকে প্রত্যহ সেই হুমকি দিচ্ছে।
নেতানিয়াহু এখন রাজনীতিতে জুয়া খেলছেন। কিন্তু তাঁর নিজের হাতে পুঁজি কম। আগেই তিনি অনেক ঋণ নিয়ে রেখেছেন। আরও বেশি ঋণ নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া তাঁর কোনো উপায় নেই। কিন্তু তাঁর হাতে আসলে এখন তাস খুবই কম।
বাস্তবতা হলো, ইসরায়েল গত ১৪ মাসে যুদ্ধ করে খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি, কিন্তু হারিয়েছে অনেক কিছু। এই সংঘাত নিয়ে সারা দুনিয়াকে নেতানিয়াহু যে গল্পগুলো শুনিয়ে আসছেন, তিনি নিজেই বোধহয় সেগুলো বিশ্বাস করে ফেলেছেন। এরসঙ্গে তাঁর একগুঁয়ে অভ্যাস তো আছেই।
মিডল ইস্ট আই থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে অনূদিত