পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ইটভাটাটির মালিক বারুইগ্রামের রুহুল আমিন। ইটভাটায় কাজ করা শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। শ্রমিকদের জিম্মি করে ভাটায় কাজ করানোসহ ঠিকমতো মজুরি দেওয়া হতো না। শ্রমিকেরা ন্যায্য পাওনা চাইলে খারাপ আচরণসহ মারধর করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা ইটভাটার শ্রমিকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাঁদের জিম্মি করে রাখা হতো। কিশোরগঞ্জ থেকে ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে আসা একটি দল বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানায়। পরে বুধবার সন্ধ্যার আগমুহূর্তে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মো. মনিরুজ্জামান, নান্দাইল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ যৌথ বাহিনী ইটভাটায় অভিযান চালায়। এ সময় ২০ শ্রমিককে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়।
শ্রমিকের সরদার মো. মেহেদী হাসান দাবি করেন, ইটভাটার মালিক ও তাঁর সহকারীরা শ্রমিকদের জিম্মি করে কাজ করাতেন। ঠিকমতো মজুরি দিতেন না। মারধরও করা হতো। পরে সেনাবাহিনীকে জানালে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ইটভাটায় একটি ঠিকাদারি গ্রুপ শ্রমিক সরবরাহ করেছিল। ঠিকাদারি গ্রুপ টাকা নিলেও শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ করছিল না। শ্রমিকদের আটকে রেখে কাজ করানো হতো। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের ২০ শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। দুজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা শেষে বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।