অনেক উত্তেজিত ইসরায়েলি সমর্থক চলমান মুহূর্তকে ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করছেন। ওই ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত বিজয় মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্যই বদলে দিয়েছিল।
এটা ঠিক যে ইসরায়েলের জন্য এখন পরিষ্কারভাবে অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি আছে বড় ধরনের বেশ কিছু ঝুঁকি। হিজবুল্লাহ ধুঁকছে বটে, কিন্তু ভান্ডারে যে ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তা ব্যবহার করার সক্ষমতা ফুরিয়ে যায়নি। বরং তা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধান শহরগুলোয় কয়েক দফা আঘাত হানতে পারবে। ইসরায়েল লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে মঙ্গলবার। এতে করে দেশটি হয়তো সংঘাতের এমন পাকচক্রে আটকা পড়তে পারে, যা বছরের পর বছর চলবে। আর তা ঘটবে এমন এক সময়ে, যখন তার সেনাবাহিনী গাজায় যুদ্ধরত।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ দীর্ঘ মেয়াদে হিজবুল্লাহর নতুন প্রজন্মের যোদ্ধা তৈরি করতে পারে। আজকে হামাস যোদ্ধাদের ৬০ শতাংশই তো আগেকার সংঘাতগুলোয় যারা এতিম হয়েছিল, তাদের থেকে উঠে এসেছে বলে মনে করা হয়।
কোনো সন্দেহ নেই, হিজবুল্লাহ ও হামাস ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষে গাজা কীভাবে শাসিত হবে, সে প্রশ্নের উত্তর ইসরায়েলের জানা নেই। লেবাননের দুর্বল তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়তো হিজবুল্লাহর কারণে সৃষ্ট শূন্যতা পূরণে সক্ষম হবে না। এতে করে ইসরায়েল সীমান্তে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র দেখা দেবে।
নেতানিয়াহু হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন আঞ্চলিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু আঞ্চলিক গোলযোগ যেসব বিপদ ডেকে এনেছে, সেগুলোই হয়তো পরিণতি হিসেবে দেখা দেবে।