খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৪৫৮ সালে খনন হওয়া প্রাচীন নানুয়ার দীঘিটি কুমিল্লার ঐতিহ্য বহন করছে। এই দীঘির পাড়ে বসবাস ছিল দেশের বিশিষ্টজনদের। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস প্রায় ৭০০ বছর ধরে। মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস প্রায় ২৫০ বছর ধরে। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে ২৫০ বছর ধরেই আছে সম্প্রীতির বন্ধন, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা সবার।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন যেন নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসবে মেতে উঠতে পারেন—সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব মাঠে আছে। পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে আটজন এবং অন্যান্য পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, এবার জেলায় ৭৯১টি ও নগরীতে ৬৯টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। পূজার আনন্দ যেন কোনো অপশক্তি নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে সর্বোচ্চ নজরদারি করছেন। পূজা নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।