শ্যামদেশ বা আজকের থাইল্যান্ড কখনো কোনো বিদেশি শক্তির উপনিবেশ ছিল না। এ ভূখণ্ডকে কখনোই ব্রিটিশ, ফরাসি বা অন্য কোনো ঔপনিবেশিক শক্তি সরাসরি শাসন করেনি। ব্রিটিশরা মিয়ানমার (বার্মা) দখল করেছিল আর ফরাসিরা যেমন ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়াকে উপনিবেশ বানিয়েছিল।
কিন্তু থাইল্যান্ড তাদের হাত থেকে স্বাধীন থাকতে পেরেছিল। তবে কখনো কখনো তারা ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আপস করে সীমান্ত চুক্তি করেছিল।
এ ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কম্বোডিয়া ছিল ফরাসি উপনিবেশ এবং ফরাসিরাই অনেক আগে সীমান্ত চিহ্নিত করেছিল, যা নিয়ে আজকের এ বিরোধ।
ফরাসিরা কম্বোডিয়ার হয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি করেছিল। সেসব চুক্তির অনেকগুলো অস্পষ্ট ছিল। ফলে বহু বছর ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধ থেকে গেছে। বিশেষ করে কিছু প্রাচীন মন্দির নিয়ে তাদের বিরোধ রয়ে গেছে।
দুই দেশই যেসব মন্দিরকে নিজেদের দাবি করে, তার মধ্যে দুটি মন্দির বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো প্রেয়া ভিহিয়ার মন্দির। এটি একটি হিন্দু মন্দির, যা প্রায় এক হাজার বছর আগে খেমার সাম্রাজ্যের সময় তৈরি হয়েছিল।
মন্দিরটি একটি উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এবং স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আন্তর্জাতিক আদালত ১৯৬২ সালে কম্বোডিয়ার বলে রায় দিলেও থাইল্যান্ড এটির মালিকানা দাবি করে।