ইসরায়েলের জনগণ বরং বিস্মিত হবেন, এটা জেনে যে ইসরায়েলের রক্ষাকারী হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার জন্য যিনি খুব উদ্গ্রীব ছিলেন, তিনি কীভাবে সমঝোতা মেনে নিয়েছেন। শুধু ফিলাডেলফি করিডর নয়; বরং নেৎজারিম করিডরের নিয়ন্ত্রণও ছাড়তে হবে ইসরায়েলি বাহিনীকে আর ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার ওপরও কঠোর নজরদারি থাকবে না। নেতানিয়াহু প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক মানবিক সাহায্য গাজায় প্রবেশ করতে দিতেও সম্মত হয়েছেন; যা যুদ্ধের আগে দৈনিক যা প্রবেশ করত, তার চেয়ে ১০০ বেশি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর অন্ধ সমর্থকদের কেউ কেউ অবশ্য এখন একটু ধাতস্থ হতে শুরু করেছেন। ট্রাম্প ইসরায়েল বা নেতানিয়াহুর কোনো ভক্ত নন। তিনি যা করেছেন, তা তাঁর বিভিন্ন স্বার্থের দিক খেয়াল রেখে করেছেন, যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক কৌশলগত চিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সংহত করা। পাশাপাশি নিজেরে মর্যাদা ও অবস্থান খেয়াল করা।
নেতানিয়াহু বুধবারও ফিলাডেলফি করিডরে ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থানের বিষয়ে সমঝোতার ব্যাখ্যা নিয়ে হামাসের সঙ্গে সংকট হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে তিনি তাঁর দাবি থেকে সরেননি। তাতে মূল চুক্তিতে কোনো হেরফের হবে না; কিন্তু জিম্মিদের পরিবারের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা যে আদৌ তাঁর বিবেচনায় নেই, সেটা আবার পরিষ্কার হয়ে গেল।