বাস্তবে ঘটল উল্টো। আগপাছ বিবেচনা না করে তিনি ঢালাও অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিলেন, প্রায় আড়াই লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর চাকরি খেয়ে বসলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলার ব্যবস্থা করলেন। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। দেখা গেল, এমন সব লোকজনকে ছাঁটাই করা হয়েছে, যাঁরা না থাকায় বিমানবন্দরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ থেকে আবহাওয়া দপ্তরে জরুরি সেবা দেওয়ার লোক পাওয়া গেল না। কর্মী ছাঁটাই হওয়ায় সোশ্যাল সিকিউরিটির চেক পাঠানো বা রাজস্ব আদায়ের কাজে গাফিলতি বাড়ল। এমনকি সাবেক সেনাসদস্যদের সেবাকাজেও বিঘ্ন দেখা গেল। এ নিয়ে চারদিক থেকে সমালোচনা উঠল, আদালত থেকেও ঢালাও ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে রায় এল। ফলে ট্রাম্পকে বাধ্য হয়ে ঘোষিত অনেক কাটছাঁট আবার পুনর্বহাল করতে হলো।
মাস্ক দাবি করেছিলেন তিনি দুই ট্রিলিয়ন ডলারের অপচয় ঠেকাবেন। তিন মাস পর হিসাব নিয়ে দেখা গেল, তিনি বড়জোর দেড় শ বিলিয়ন ডলার কমাতে পেরেছেন।
মাস্ক ও ডিওআইজি যে বিষফোড়া হয়ে উঠেছে, এ কথা ট্রাম্প বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছিলেন। মিডিয়াতে মাস্কের চৌপ্রহর উপস্থিতি নিয়েও তাঁর বিরক্তি বেড়ে চলছিল। তিনি মাস্ককে যতই ভালোবাসুন না কেন, মিডিয়ায় তাঁর জায়গাটা অন্য কেউ নেবে, সেটি তিনি সহ্য করবেন না। ফলে উভয়ের সম্মতিতেই মাস্ককে ডিওআইজি থেকে বিদায় নিতে হলো। ৩০ মে ছিল মাস্কের হোয়াইট হাউসে চাকরির শেষ দিন। বিদায় দিতে গিয়ে ট্রাম্প আবেগভরা গলায় জানালেন, মাস্ক নিজের ব্যবসায় ফিরে যাচ্ছেন, কিন্তু হোয়াইট হাউস তিনি ছাড়ছেন না। অর্থাৎ বাইরে থেকেও মাস্ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে যাবেন।