জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউরোপ–সমর্থিত ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন বন্ধ এবং অবিলম্বে রুশ সেনাদের প্রত্যাহারের দাবিতে ওই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রও সে কাতারে যোগ দিয়েছে।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। রাশিয়াকে আগ্রাসী উল্লেখ করে ফ্রান্সের নেতৃত্বে সংশোধনী প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকীতে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এ নিয়ে ভোটাভুটি চলার সময় ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন মাখোঁ।
১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মেনে চলাটা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য আইনত বাধ্যতামূলক নয়। তবে একে বিশ্ব মতামতের ব্যারোমিটার হিসেবে দেখা হয়।
গতকাল সোমবার// জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র তার মূল খসড়াতে ভোটাভুটির জন্য উপস্থাপন করে। নিরাপত্তা পরিষদ অপেক্ষাকৃত ক্ষমতাধর। সেখানে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো আইনত বাধ্যতামূলক এবং রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের এ ক্ষেত্রে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ১৫ সদস্যের পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১০টি। ৫টি ইউরোপীয় দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এ পাঁচ দেশ হলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, গ্রিস ও স্লোভেনিয়া।