পাঠ পর্ব শেষে তিনি ১৯৭০ সালে ঢাকা চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। অধ্যাপক হিসেবে ২০১২ সালে অবসর গ্রহণের পর থেকে স্বাধীন ভাবে শিল্পচর্চা করে গেছেন।
ভাস্কর্য হামিদুজ্জামান খানের প্রধান শিল্পমাধ্যম হলেও তিনি জলরঙের ছবিতেও বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অধিকাংশ ভাস্কর্যই তাঁর হাতে করা। নভেরা আহমেদের পরে যাঁদের হাতে দেশের আধুনিক ভাস্কর্য চর্চা বিকাশ লাভ করেছে তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রধান।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে তিনি জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করেন। এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম ভাস্কর্য। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সার কারখানায় ‘জাগ্রত বাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’, ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’, মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন প্রাঙ্গণে ‘ইউনিটি’, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ‘ফ্রিডম’, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’, আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্মকমিশন প্রাঙ্গণে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’, মাদারীপুরে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ হামিদুজ্জামান খানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য।