গাজীপুরের সারাবো এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা চার–পাঁচ দিন সড়ক অবরোধ করে বেতনের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। জিরানী এলাকার রেডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল ও আইরিশ ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকেরা হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও নাইট বিল বৃদ্ধির দাবিতে অন্তত চার দিন চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসব এলাকায় শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবিদাওয়া মেনে নিলে পরিবেশ শান্ত হয়। অপর দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন কোনাবাড়ী তুসুকা গ্রুপের ছয়টি কারখানা, ইসলাম গার্মেন্টস লিমিটেড, রেজাউল অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফ্যাশন সুমিট লিমিটেড, কেএম নোভেলি লিমিটেড, ফ্যাশন পয়েন্ট, রিপন নিটওয়্যার, লাইফট্যাক্স লিমিটেড, কানিজ ফ্যাশন, এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড, পিএন কম্পোজিট, মুকুল নিটওয়্যার, কটন ক্লাব, এ্যামা সিনট্যাক্স, বেসিক ক্লোথিং ও অ্যাপারেল প্লাসের শ্রমিকেরা। চন্দ্রা এলাকায় মাহমুদ জিনস ও নূরুল স্পিনিং কারখানার শ্রমিকেরাও বিক্ষোভ করেছেন সড়ক অবরোধ করে। এ ছাড়া পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন, চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিনস, নূরুল ইসলাম স্পিনিংয়ের শ্রমিকেরা নানা দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন।
গাজীপুরে সবচেয়ে বেশি শিল্পকারখানা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে শ্রীপুরের বাঘেরবাজার এলাকা পর্যন্ত। এ মহাসড়কে গত তিন মাসে ১৯ থেকে ২০ বার অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমাধান হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাজীপুর শিল্প পুলিশের একজন পরিদর্শক বলেন, ‘মালিকেরা যখন বেতন দেন না বা শ্রমিকদের নির্যাতন করেন, তখন তাঁরা দূরে কোথাও না গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে প্রশাসনের লোকজন নড়েচড়ে বসেন। আমরাও সড়ক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে চাপ সৃষ্টি করি। এতে সহজেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’