কালিন্দী এলাকা থেকে একসঙ্গে তিন বন্ধু এসেছিলেন জানাজায় অংশ নিতে। তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ হোসেন বলল, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি; কিন্তু মন্টু সাহেবের কথা ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছে শুনে আসছি। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তখন তিনি বুক চিতিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক সফল অপারেশন করেছেন, যা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়ক ছিল। সেটা আমাদের জন্য একটা বড় অনুপ্রেরণা।’
কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া এলাকা থেকে আসা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি ওনার এলাকায় থাকি না; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে ওনার অবদানের কথা এত শুনেছি যে মনে হতো উনি আমাদের সবার নেতা। আজ জানাজায় এসে ওনার প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম। সত্যি বলতে, এমন মানুষগুলো হারিয়ে গেলে সমাজ একেকটা আলো হারায়।’
মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেরানীগঞ্জের সভাপতি নুরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হওয়ায় ২ এপ্রিল মোস্তফা মোহসীনকে হত্যার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কেরানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। গণহত্যা শুরুর আগে পাকিস্তানি সেনারা বুড়িগঙ্গার অপর প্রান্ত কেরানীগঞ্জের ঘাটে ঘাটে মন্টুকে খুঁজতে এসেছিল, তখন কোনো মানুষ একবারের জন্যও তাঁর অবস্থান চিনিয়ে দেয়নি। আমাদের কাছে জনপ্রিয় ও সাহসী ব্যক্তিত্ব ছিলেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।’