শাকিল রবি দাস বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টায় দুজন মিলে একসঙ্গে বাড়ি থেকে নোয়াবাদ এলাকার ভূঁইয়া বাজারে যাই। সেখান থেকে বাজারের ক্লাবে আমাদের দু-তিনজন ধরে নিয়ে যায়। নোয়াবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মিয়া, বাজার কমিটির সভাপতি মঞ্জিল মিয়াসহ মুসলিম কিশোরীর দু-তিনজন স্বজন উপস্থিত থেকে আমাদের মুঠোফোন কেড়ে নেয় এবং নানা জিজ্ঞাসাবাদ করে মারপিট করে। ঘণ্টাখানেক পর তিনজন চৌকিদার, একজন স্থানীয় লোকসহ আমাদের অটোরিকশায় করে সেনাক্যাম্পে পাঠায়। অটোরিকশায় করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও মারধর করা হয় আমাদের। সেনাক্যাম্পে গেলে হৃদয়কে এক কক্ষে ও আমাকে আরেক কক্ষে রাখা হয়। হৃদয়ের কক্ষে কী ঘটনা ঘটেছে, আমি জানতে পারিনি। পরে রাত দুইটার দিকে দেখি, হৃদয়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হৃদয় মারা যায়।’
আজ রোববার বিকেলে শাকিলের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর বাঁ হাত ও ডান ঊরুতে মারধরের দাগ ও তাঁর পরনের লুঙ্গিতে রক্তের দাগ দেখা যায়। এমন সময় তাঁর চোখমুখে আতঙ্ক ছিল। তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
তবে চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শুধু হৃদয়ের মুঠোফোন চেক করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে করিমগঞ্জে সেনাক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়। কারণ, হৃদয়ের মুঠোফোন হোয়াটসঅ্যাপে কিশোরীর বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। পরে তিনজন চৌকিদার, একজন স্থানীয় বাসিন্দাসহ একটি রিকশায় হৃদয় ও শাকিলকে করিমগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের সেনাক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে শুক্রবার রাত দুইটার দিকে খবর পান যে হৃদয় খুব অসুস্থ।