জ্যাকব ও আনিসুলের রিমান্ড শুনানি সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন কাঠগড়ার এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তখন একজন পুলিশ কর্মকর্তা ‘জনাব রাশেদ খান মেনন’, ‘জনাব শাজাহান খান’ ও ‘জনাব আনিসুল হক’ বলে ডাক দেন। তাঁরা সাড়া দেন। তখন মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
ঘড়ির কাটায় তখন প্রায় সকাল সাড়ে ৯টা। তখন নারী পুলিশ সদস্যরা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে এজলাসে নিয়ে আসেন। মাথা থেকে হেলমেট খোলার পর দীপু মনির সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন আগে থেকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সালমান। প্রায় দুই থেকে তিন মিনিট তাঁদের মধ্যে কথা হয়।
এরপর পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে দীপু মনির সঙ্গে কথা বলেন জুনাইদ, মেনন ও আনিসুল।
এরপর মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
প্রায় ৪৫ মিনিট শুনানি শেষে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
শুনানির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আদালতে দেখা যায়, আনিসুল, মেনন, শাজাহানসহ অন্যরা প্রত্যেকে তাঁদের নিজ নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
বিচারক এজলাস ত্যাগ করার পর প্রথমে মেননের মাথায় পুলিশের হেলমেট পরানো হয়। এরপর একে একে আনিসুল, শাজাহান, দীপু মনি ও জুনায়েদের মাথায় হেলমেট পরানো হয়। তারপর তাঁদের এজলাস কক্ষ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের হাজতখানায়।
আজ সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।