এই পরিপ্রেক্ষিতে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের পক্ষে ইসরায়েলের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া দ্বিতীয় বিকল্প নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, নেতানিয়াহু প্রশাসন এতে কীভাবে সাড়া দেবে।
ইসরায়েল তখন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে যথেষ্ট পরিমাণ রাজনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সমর্থন দিতে পারে, যাতে তারা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত রোভাজার সীমানা বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়।
এ ধরনের ব্যবস্থা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস সাদরে গ্রহণ করবে। কেননা সমুদ্রে প্রবেশের সুযোগ ছাড়া কুর্দিদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন অধরায় থেকে যাবে।
এ ধরনের পদক্ষেপ ইসরায়েলের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করবে। কেননা এতে তুরস্ক ও দামেস্কের মধ্যে ইসরায়েল তার পক্ষের একটি সামরিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
কিন্তু এখানে সমস্যাটি হলো এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ ইসরায়েল নিলে তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলে সরাসরি সংঘাত বেধে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর সে ধরনের কোনো সংঘাত বেধে গেলে তাতে ন্যাটোর অস্তিত্বের ওপর হুমকি তৈরি করবে।
এখানে দুটি দৃশ্যপট বিবেচনা করার আছে। প্রথমে আমরা ধরি নিই, ইসরায়েলের দিক থেকে প্রথম তুরস্কের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করা হলো। এ ক্ষেত্রে তুরস্ক ন্যাটোর আর্টিকেল-৫-কে পুনর্জীবনের আহ্বান জানাবে। এই আর্টিকেল অনুযায়ী সদস্য কোনো দেশ আক্রান্ত হলে ন্যাটোর অন্য সব সদস্য সেই দেশটিকে রক্ষা করবে।
দ্বিতীয় দৃশ্যপটটা এমন হতে পারে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর তুরস্ক সরাসরি হামলা করল। সে ক্ষেত্রে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বলবে, তুরস্ককে ন্যাটো থেকে যেন বাদ দেওয়া হয়।