যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, সব মিলিয়ে ১৯টি সংস্থাই বিভিন্নভাবে রাশিয়ার সামরিক কাজে সহায়তা করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ায় ওই সব সংস্থার প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের রপ্তানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। ফিউট্রেভো সরবরাহ করেছে ১৪ লাখের বেশি ডলারের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। প্রত্যেকের লেনদেনই হয়েছে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিকে রাশিয়া ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকেও তারা লাভ করে চলেছে। যেভাবে তারা প্রযুক্তিগত সহায়তা ও যন্ত্রাংশ আমদানি করছে, তা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র সচেষ্ট।
এর আগেও ভারতীয় সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের নজরে পড়েছিল। ২০২৩ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘এসআই২ মাইক্রোসিস্টেমস’ নামের এক সংস্থাকে। নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ সেনাবাহিনীকে ওই সংস্থা সার্কিট সরবরাহ করেছিল বলে অভিযোগ।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা হলো সেদিন, যেদিন ভারত ও চীন লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) স্থিতাবস্থা রক্ষা ও উত্তেজনা কমাতে মুখোমুখি সেনা অবস্থান সরিয়ে নেওয়ার কথা জানায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও যে সময় দরজায় কড়া নাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।