ইউরোপ: মার্কিন সমর্থন কমছে, ফ্রান্স কি পারমাণবিক ছাতা ছড়াতে পারবে
পল কিরবি, ইউরোপ ডিজিটাল সম্পাদক
ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপের দেশগুলো এত বেশি সম্মেলন করেছে যে চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোয় আরও সম্মেলন হবে।
ইউরোপের নেতারা হঠাৎই বুঝতে পেরেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তাঁরা যে ‘নিরাপত্তা ছাতার’ ওপর নির্ভর করে আসছেন, সেটা আর থাকবে না। ইউরোপের এখনকার পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্কাগুলো আরও দ্রুত সামনে আসছে।
ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ইউরোপের একটি বিস্তৃত ঐকমত্য রয়েছে। শেষমেশ শান্তিচুক্তি করা সম্ভব হলে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ‘আগ্রহীদের একটি জোট’ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও রাশিয়া এই ধারণা পছন্দ করছে না। তারপরও মাখোঁ আগামী মঙ্গলবার সেনাপ্রধানদের নিয়ে একসঙ্গে একটি পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে, তা হলো, ইউরোপ কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবে? কেননা, বর্তমান পরিস্থিতিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেন ‘স্পষ্ট ও বর্তমান বিপদ’ বলে চিহ্নিত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেছেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করার জন্য পাশে না থাকে, তাহলে আমাদেরই প্রস্তুত থাকতে হবে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে কোটি কোটি ইউরো ব্যয়ের পরিকল্পনার কথা বলছে।
মাখোঁ প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন। তবে ফ্রান্সের ‘পারমাণবিক ছাতা’ কতদূর বিস্তৃত হবে, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্যারিসের কাছ থেকেই আসবে।
প্রশ্ন হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইউরোপের দেশগুলো কি তাদের সম্পদ একত্র করতে এবং একে অপরের ওপর নির্ভর করতে পারবে?
লিথুয়ানিয়ার মতো ছোট দেশগুলোর সামনে এর কোনো বিকল্প নেই।
কিন্তু এটা নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ‘আমাদের নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুতাগার থাকলে, তবেই এটি নিরাপদ হতে পারে।’