এদিকে আজ দুপুরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) থেকে জানানো হয়, সাভার ও আশুলিয়ায় ২৭২টি পোশাক কারখানার মধ্যে ১৪টি কারখানা বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩(১) ধারায় বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ বা ছুটি আছে ৫১টি কারখানায়। আগস্ট মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেননি চারটি কারখানার মালিক।
ছুটি ঘোষণা করা একাধিক কারখানার শ্রমিকেরা জানান, আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার কারখানাগুলোতে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছিলেন খোলা থাকা কারখানার শ্রমিকেরা। তবে বন্ধ থাকা লুসাকা গ্রুপ ও মণ্ডল নিটওয়্যার লিমিটেডের নামে কারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষের জেরে জিরাবো থেকে বিশমাইল পর্যন্ত এলাকায় খোলা থাকা অধিকাংশ কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
লুসাকা গ্রুপের এক শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেস (মামলা) নিয়া যত ঝামেলা। আমাদের কেস ওঠাচ্ছে না, এইটা নিয়াই এখন যত সমস্যা। এই মাসের শুরুর দিকে আমাদের ১০৭ জনের নামে ফ্যাক্টরি ভাঙচুরের কেস করা হইছে। আমরা সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি সবাইরে প্রতিটা ফ্লোর দেখাইছি কোনো ভাঙচুর হইছে কি না। তারাও বলছে, কোনো ভাঙচুর হয় নাই। এরপর মালিকপক্ষ বলল, “৭ দিনের সময় দাও, তোমাদের মামলা তুলে নিচ্ছি।” আর কোনো খোঁজখবর নাই। কাজ না করলে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়। আজ দুই দিন ধইরা ফ্যাক্টরির সামনে গিয়া দেখি, ফ্যাক্টরি বন্ধ।’