যোগাযোগ করা হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে মারুফ কারখী জানান, বুধবার বিকেলের দিকে তিনি থানায় হাজির হয়ে মামলার এজাহারে সই করেছেন। ওই এজাহারে তিনি প্রধানত হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি ‘হেল্প, হেল্প’ বলে চিৎকার করছিল। তখন তিনি চলেই যাচ্ছিলেন। পরের আরও উচ্চ স্বরে চিৎকার করছিল। তখন তিনি থেমে যান। ভেবেছিলেন মেয়েটি বড় কোনো বিপদে পড়েছে। ছিনতাইয়েরও শিকার হতে পারে। তিনি থামার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে এসে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। এরপর তিনি পড়ে গেছেন। তারপরেও আঘাত করে গেছে। একপর্যায়ে তিনি তার ছুরি ধরেছেন। মুখে মাস্ক পরা থাকার কারণে তিনি মেয়েটিকে প্রথমে চিনতে পারেননি।
গত মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে নগরের সপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ওই ছাত্রীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। সে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে’ ২০২৩ সালে তাকে সেনাবাহিনী পরিচালিত এই স্কুল থেকে টিসি দেওয়া হয়। এখন সে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিচালিত রাজশাহীর শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। টিসি দেওয়ার কারণে ‘ক্ষোভ’ থেকে ওই ছাত্রী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ।