‘বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক’ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আসলে কী করছে


দায়বদ্ধতা নেই, নেই নিয়ন্ত্রণ

২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইসরায়েলি সাময়িকী ‍+৯৭২-এর এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার গুলি চালাতে সেনাদের প্রায় কোনো বিধিনিষেধই ছিল না।

গাজায় মাসের পর মাস দায়িত্ব পালন করা এক ইসরায়েলি সেনা ‍+৯৭২ সাময়িকীকে বলেন, ‘পুরোপুরি স্বাধীনতা ছিল। এমনকি যদি কোনো রকম হুমকি আছে বলে মনে হয়, তবে ব্যাখ্যার দরকার নেই—তুমি সরাসরি গুলি চালাতে পারো। আকাশে নয়; বরং তাদের শরীরের মূল অংশে গুলি চালানোর অনুমতি আছে।’

নাম গোপন রাখার শর্তে ওই সেনা আরও বলেন, সবাইকে গুলি করার অনুমতি আছে—হোক সে মেয়েশিশু কিংবা বৃদ্ধা।

অ্যাকশন অন আর্মড ভায়োলেন্সের (এওএভি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে গাজা ও পশ্চিম তীরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সেনাবাহিনী যে ৫২টি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল, তার ৮৮ শতাংশই থমকে গেছে বা দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এওএভি জানায়, এই ৫২টি ঘটনায় ১ হাজার ৩০৩ মানুষ নিহত ও ১ হাজার ৮৮০ জন আহত হন। এ ছাড়া আরও দুজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অথচ এত অভিযোগের মধ্যে মাত্র একজন দোষীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *