মতবিনিময় সভায় দাবি: পার্বত্য চট্টগ্রামে কত জমি দখল হয়েছে, প্রকাশ করুন


পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা। এখানকার মানুষ বেশি কিছু চায় না। নাগরিক হিসেবে, রাজা–প্রজার সম্পর্কের বাইরে এসে নাগরিক মর্যাদা চেয়েছে। সরকারগুলো যদি এটা বিবেচনায় না নেয়, তাহলে এগোনো যাবে না। জাতীয় সংলাপের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের মূল স্লোগান ছিল বৈষম্য দূর করা। ভূমি অধিকার, শিক্ষা, লিঙ্গবৈষম্যসহ সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের শপথ নিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল। কিন্তু সরকার পাহাড়ের সমস্যার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। সারা দেশে গণতন্ত্রের লড়াই করবে কিন্তু পাহাড়কে বাইরে রেখে সে লড়াই হবে না। কারণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে অনেক কথা বলা হলেও সরকারগুলো যোক্তিক কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেনি। তাই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের উচিত কোন সরকারের আমলে পাহাড়ের কত ভূমি দখল করা হয়েছিল, অবৈধভাবে লিজ দেওয়া হয়েছিল, সেসব প্রকাশ করার জোর দাবি জানাই। কত সেটলার, কোন সংখ্যায় সেখানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটাও প্রকাশ করা হোক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *