সকালে বেশির ভাগ খাবারের দোকান ও হোটেল বন্ধ থাকায় ঠিকমতো নাশতা পাওয়া যেত না। পাশের ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে লাইন ধরে নাশতা আনতে হতো। ইন্টারনেট স্লো থাকায় আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে আপডেট নিতাম। যখনই ইন্টারনেট পেয়েছি, ফেসবুকে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে অনেক লিখেছি। আম্মার হাসপাতাল গণভবনের খুব কাছে ছিল। ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল ছিল বেশি। সন্ধ্যা হতেই তারা ট্যাংক নিয়ে টহল দিত। ২৮ জুলাই সবাইকে অথই সাগরে ভাসিয়ে আম্মা আমাদের ছেড়ে চলে যান! ওই সময় আমাদের মানসিক অবস্থা ভয়াবহ খারাপ ছিল।
আমরা যে যেখানেই ছিলাম, সবার একটাই লক্ষ্য ছিল, তা হলো খুনি হাসিনার পতন! আম্মা হাসপাতালে নিয়মিত পেপার পড়তেন, তিনি রাজনীতিসচেতন মানুষ ছিলেন। সব সময় আমাদের বলতেন, একদিন হাসিনার নির্মম পতন হবে। তাই হলো! ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেন। আর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অপরিসীম কষ্ট করে আম্মা চলে গেলেন স্রষ্টার ডাকে, পরপারে। আফসোস, তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারলেন না!
লেখক: প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়হান, ঢাকা