গণপিটুনির সময় আসা পুলিশ ‘মব’ দেখে ফিরে যায়, পরে এসে নিয়ে যায় লাশ


বুড়িরহাট গ্রামের ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভ্যান চালে বাড়ি আসছি। তখন রাইত সাড়ে ৯টা। বুড়িরহাট বাজারের পাশোত বুড়িরহাট স্কুলের মাঠে রূপলাল দাস ও প্রদীপ লালকে জনগণ চোর সন্দেহে মারছিল। তখনো বাঁচি আছলো। দুই গাড়ি পুলিশও আলছিলো। জনগণ সরানোর জন্য পুলিশ বাসিত ফুঁকও দিছিলো। কিন্তু জনগণ না সরায় পুলিশ ঘুরি যায়। পর সেনাবাহিনী আর পুলিশের তিনটা গাড়ি আসি অজ্ঞান অবস্থায় ওই দুইজনকে নিয়া যায়।’

রূপলালের মা লালচি দাস বলেন, ‘মোর বাবা তো মাটির মানুষ আছলো। কারও সাথে কোনো দিন ঝগড়া করে নাই। বিনা দোষে মোর বাবাক মারি ফেলাইছে। যায় মোর বাবাকে মারছে তার ফাঁসি চাও।’

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ফারুক বলেন, ‘থানা থেকে বুড়িরহাট বেশ অনেক দূর। যেখানে যেতে সময় লাগে। যখন মব তৈরি হয়, তখন স্কুল মাঠে তিন চার হাজার লোক। পুলিশ তাঁদের রক্ষার চেষ্টা করছিল। কিন্তু লোকজন সরছিল না। তিন চার হাজার লোকে ডিঙিয়ে ওদের ওইভাবে সেফ করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *