পতনের আগের রাতেও দমনের চেষ্টায় ছিলেন শেখ হাসিনা


দ্বিতীয় বৈঠকটি হয়েছে ৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে। সাবেক এই আইজিপির ভাষ্য অনুযায়ী, এই বৈঠকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর বোন শেখ রেহানা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তিন বাহিনীর প্রধান, র‍্যাবের ডিজি ও আইজিপি উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকে শেখ হাসিনার খুবই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমানও (তৎকালীন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল) উপস্থিত ছিলেন। সেখানে খোলামেলা কথা হয়।

এই বৈঠকে কীভাবে পরদিনের অর্থাৎ ৫ আগস্টের আন্দোলন ও গণজমায়েত দমন করা যায়, তা নিয়ে কথা হয় জানিয়ে সাবেক আইজিপি জবানবন্দিতে বলেন, ‘(গণভবনে) বৈঠক শেষে আমরা সেনাবাহিনীর অপারেশন কন্ট্রোল রুমে চলে যাই। তিন বাহিনীর প্রধান, লে. জেনারেল মুজিব, র‍্যাবের ডিজি, গোয়েন্দা সংস্থা, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও আমি নিজে ছিলাম। সেখানে ফোর্স মোতায়েন নিয়ে কথা হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় এই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে ঢাকা শহর, ঢাকার প্রবেশমুখে কঠোর অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

তবে সামরিক বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, গণভবনে ৪ আগস্ট রাতের বৈঠকে শেখ হাসিনাকে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, (বৈঠকের) এসব আলোচনা কাজে লাগবে না। সময় ফুরিয়ে গেছে।

এদিকে প্রভাবশালী একটি দেশের কূটনৈতিক সূত্র থেকে জানা গেছে, ৪ আগস্ট দিবাগত রাত আড়াইটায় তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রভাবশালী ওই দেশের দূতাবাসকে জানিয়েছিলেন যে শেখ হাসিনা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *