আমার বন্ধু অলিন্দ গুপ্ত। সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়ার সময় ২০০৩ সালে তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। দুজনেরই বাসা ছিল মোহাম্মদপুর, ধীরে ধীরে সেখানেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। স্কুল শেষ করে দুজনই ভর্তি হই নটর ডেম কলেজে। কলেজের মাঠ আর মোহাম্মদপুরের খেলার মাঠে ফুটবল খেলার মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়। পরে দুজন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগে ভর্তি হই। পরের কয়েক বছর আমাদের সবকিছুর কেন্দ্র হয়ে ওঠে বুয়েট। আমরা প্রিপারেটরি লিভে একসঙ্গে পড়তাম, ফুটবল খেলতাম, ক্যাম্পাসের নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিতাম। ক্যাম্পাসে রাত জেগে খেলা দেখা ছিল আমাদের নিয়মিত কাজ। আমি আর্জেন্টিনা আর অলিন্দ ব্রাজিলের সমর্থক; ক্লাব ফুটবলে আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর অলিন্দ আর্সেনাল। তাই বাহাসও চলত অনেক।
ক্যাম্পাসে লাইভ কনসার্ট দেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আমরা একসঙ্গে ঘুরতে যেতাম। দেশের বাইরে নেপাল, ভারতেও একসঙ্গে ঘুরেছি। একটা ঘটনা এখন বিশেষভাবে মনে পড়ছে। শেষ সেমিস্টারে র্যাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছিল তখন। উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচ আমরা দুজন দুই প্রতিপক্ষ দলে। সেকশন আলাদা, তাই আমাদের দলও আলাদা। সেই ম্যাচে জয়সূচক গোল করে অলিন্দ। খেলার সময় যা হয়, দুই দলের রেষারেষি থেকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। রীতিমতো ঝগড়ার মতো পরিস্থিতি। কিন্তু খেলার মাঠের ঝগড়া পরের সন্ধ্যাতেই ভুলে গিয়েছিলাম। র্যাগ কনসার্টে একসঙ্গে গান গেয়েছি গলা ফাটিয়ে।