দেশের সর্বত্র আমের চাষ হয়। তবে উত্তরের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, দক্ষিণ-পশ্চিমের সাতক্ষীরা ও মেহেরপুর এবং পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে আমের উৎপাদন বেশি। এসব জেলা থেকে আম এসে পৌঁছায় ফলমন্ডির আমের আড়তগুলোতে।


চট্টগ্রাম নগরের স্টেশন রোডের ফলমন্ডিতে আমের আড়ত আছে শফিউল আজমের। দূরের জেলা নওগাঁয় প্রায় আড়াই শ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে তিনি আমের বাগান করেছেন। গোবিন্দভোগ, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, বারি-৪, ব্যানানা ম্যাঙ্গোসহ নানা জাতের আমের চাষ এসব বাগানে। এখন বেচাকেনা কমে এসেছে। পাঁচ জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে তাঁর আড়তে।

গতকাল শনিবার দুপুরে শফিউল আজমের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা অলস বসে আছেন। বেচাকেনা কম। থরে থরে আম সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এই আড়তদার জানান, এখন মৌসুমের শেষ সময়। আর মাসখানেক আম থাকবে বাজারে। এরপর বেচাকেনা কমে যাবে। বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে আম্রপালি, বারি-৪, ফজলি, রুপালি ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো। আম্রপালির দাম পড়ছে পাইকারিতে ৯০ থেকে ১২০ টাকা, বারি-৪ ৬৫ থেকে ৮০, রুপালি ৬০ থেকে ১০০, ফজলি ৬০ থেকে ৮০ ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।

আমের বাজার পরিস্থিতি কেমন, এমন প্রশ্নে শফিউল আজম বলেন, শুরু থেকেই আমের দাম এবার কম ছিল। পাইকারিতে প্রতি কেজি ৩০ টাকা পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। জেলা পর্যায়ে দাম ছিল আরও কম। তবে দাম এখন একটু বেড়েছে। তবু খরচের টাকা উঠছে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *