মোহাম্মদপুর এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ (সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাতিজা), একই ওয়ার্ডের আরেকজন সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান ওরফে রাজীব এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান ওরফে বিপ্লব আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছাত্র–জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুরে ছাত্র–জনতার ওপর গুলি ছুড়ছেন এমন দুটি ভিডিও প্রথম আলোর হাতে এসেছে। সেগুলো যাচাই করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ঠিক এক দিন আগে ৪ আগস্ট ভিডিও দুটি ধারণ করা হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অস্ত্র হাতে আসিফ আন্দোলনকারীদের গুলি করছেন। আরেকটি ভিডিওতে তারেকুজ্জামান ও মাসুদুরকে গুলি করতে দেখা যায়। মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিতে নিহত হন ৪৩ জন।
গণ–অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র–জনতা ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল রামপুরা এলাকায়। সেখানেও আন্দোলনকারীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) অনেক নেতা-কর্মী অস্ত্র হাতে মাঠে ছিল। গুলিতে রামপুরায় ৩২ জন নিহত হন।
এর বাইরে রাজধানীর বাড্ডা, ভাটারা, নিউমার্কেট, চানখাঁরপুল, চকবাজার, গুলিস্তান, আগারগাঁও, মহাখালী, হাতিরঝিল, কলাবাগান, তেজগাঁও, ফার্মগেট, লক্ষ্মীবাজার, গোলাপবাগ, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, আদাবর, বাংলামোটর, শাহবাগ, পল্টন, বংশাল ও, মুগদায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তখন পুলিশ গুলি ছুড়েছিল। এর মধ্যে বাড্ডা ও ভাটারায় ৫০ জন, বংশালে ১১ জন এবং নিউমার্কেট এলাকায় ১১ জন নিহত।
এর বাইরে গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিহত অনেককে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফন করা হয়। রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় ১১৪টি মরদেহ। এসব মরদেহের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।