নাহিদ ইসলাম: আমি জানি না এখানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী রকম। তারা মাঠে থেকে চেষ্টা করছে, তারপরও কেন পুলিশকে আরও সক্রিয় করা গেল না…। পুলিশকে আরও অনেক বেশি সক্রিয় করা সম্ভব হতো যদি শিক্ষার্থীদের আরও বেশি মাঠে রাখা যেত, ব্যবহার করা যেত। ৫ আগস্টের পরে শিক্ষার্থীরাই থানাগুলাকে সক্রিয় করেছিল। নতুন পুলিশ নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবু আইনশৃঙ্খলার অনেকখানি উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এই আইনশৃঙ্খলা বা এই পুলিশি ব্যবস্থা দিয়ে আমরা নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব কি না, সেটা নিয়ে সংশয় আছে।
‘মব’ বলে যেভাবে হেয় করা হচ্ছে, তার সঙ্গে আমরা একমত নই। যাদের ‘মব’ বলা হচ্ছে, এরা বিক্ষুব্ধ জনগণ। সঠিক কর্মসূচি ও নেতৃত্ব না থাকার কারণে এদের নানাজন নানাভাবে ব্যবহার করেছে, ডাইভার্ট করেছে, নিজেদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা বা গোষ্ঠী এজেন্ডায় তাদের ব্যবহার করা হয়েছে। এটা আমাদেরও সীমাবদ্ধতা। জনগণকে একটা দিকে ধাবিত করার মতো কর্মসূচি সরকারের দিক থেকেও অনুপস্থিত ছিল।
মানুষ কর্মসূচি চেয়েছে, দেশ গঠনের জন্য কাজ করতে চেয়েছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। দেখা গেছে পুরোনো তর্ক, নানা ধরনের গোষ্ঠীগত স্বার্থের রাজনীতির ভিত্তিতে অভ্যুত্থানকারী বিভিন্ন অংশ নিজেদের মতাদর্শগতভাবে ভাগ করেছে। তাদের এখন ‘মব’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় যেটাকে ‘মব’ বলা হচ্ছে, এটা শুধু পুলিশি বা আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয়। এটা আরও বহু বছর বাংলাদেশে থাকবে। কারণ, এরা অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা।