ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত থেমে গেলেও ভারতের অপারেশন সিঁদুর থামেনি। পরবর্তীতে এ নিয়ে নতুন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রথম বিতর্ক শুরু হয় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের অপারেশন সিঁদুরসংক্রান্ত একটা মন্তব্যকে ঘিরে।
জয়শঙ্কর এক বক্তব্যে বলেন, ‘পাকিস্তানে “সন্ত্রাসী অবকাঠামোয়” হামলার আগে তাদের অবহিত করা হয়েছিল।’ এমন বক্তব্য প্রকাশ পাওয়ার পর কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো থেকে মোদি সরকারের তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘হামলার আগে পাকিস্তানকে সবকিছু জানিয়ে দিয়ে ভারতের নিরাপত্তা ও সেনাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে।’ আম আদমি পার্টির নেতা ও রাজ্যসভার এমপি সঞ্জয় সিং বলেন, ‘পাকিস্তানকে আগে জানানো দেশদ্রোহের শামিল। এটি ক্ষমার অযোগ্য ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ে ভারতীয় টিভি ও সংবাদমাধ্যমগুলোয় যুদ্ধের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কোরেশি ও উইং কমান্ডার ভয়মিকা সিং। তাঁরা দুজনই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র হিসেবে যুদ্ধে অগ্রগতি ও সাফল্যের বিবরণ দিতেন। বলা বাহুল্য, কর্নেল সোফিয়া কোরেশি একজন মুসলমান।