খেজুর বিক্রির পাশাপাশি চারা বিক্রি করেও আয় হচ্ছে বলে জানান নুর আলম। তিনি বলেন, ‘১৫ হাজার টাকায় প্রতিটি চারা বিক্রি করি। দূরদূরান্তের মানুষ এসে চারা কিনে নিয়ে যান। মরুর দেশের খেজুর খাগড়াছড়ির পাহাড়ে ফলছে, এটি দেখতেও অনেক মানুষ ছুটে আসেন।’
দেশে খেজুরের ভালো চাহিদা আছে জানিয়ে নুর আলম বলেন, ‘এখনো দেশে খেজুরের চাহিদার পুরোটা আমদানিনির্ভর। দেশে খেজুরের বাণিজ্যিক চাষাবাদ বাড়ানো গেলে আমদানি–নির্ভরতা কমবে, কর্মসংস্থানও হবে।’ তিনি আরও বলেন, খেজুর দীর্ঘদিন রেখে সহজে বাজারজাত করা যায়। গাছের তেমন একটা পরিচর্যাও লাগে না। বছরে একবার জৈব এবং একবার রাসায়নিক সার দিলেই যথেষ্ট।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ বাছিরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের খেজুর পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল। নুর আলম পরীক্ষামূলকভাবে খেজুর চাষ শুরু করেছিলেন, এতে তিনি সফলও হয়েছেন। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া এসব খেজুর চাষের অনুকূলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাটিরাঙ্গা কৃষি বিভাগ থেকে নুর আলমকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর দেখাদেখি ভবিষ্যতে খেজুর চাষ কৃষকপর্যায়ে ছড়িয়ে যাবে।’