প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়, আরাকান আর্মি ২০২৩ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আক্রমণ শুরু করে। এ বছরের শুরুর দিকে দেশটির পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যের প্রায় পুরোটাই তাদের দখলে চলে এসেছে। এমনকি আরাকান আর্মি রাখাইনের আন শহরে অবস্থিত সেনাবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডও দখল করে নিয়েছে।
১০ লাখের বেশি জনসংখ্যা–অধ্যুষিত রাজ্যটিতে এখন কার্যত আরাকান আর্মির শাসন চলছে। প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এখন রাখাইন রাজ্যে জরুরি পণ্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, ত্রাণ বিতরণেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। রাখাইনে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, ব্যাংকব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এসব কারণে আরাকান আর্মির কাছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ক্রাইসিস গ্রুপের এই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংগঠিত হওয়ার প্রক্রিয়া এবং রাখাইন রাজ্যের উত্তরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে তাদের বিদ্রোহ শুরুর সম্ভাবনা—এ ধরনের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
শরণার্থীশিবিরে ক্রমবর্ধমান হতাশা কীভাবে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নতুন সদস্য সংগ্রহের সহজ শিকারে পরিণত করছে এবং এসব গোষ্ঠীর কার্যকলাপ কীভাবে ঢাকা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সুসম্পর্কের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, এই প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে বাংলাদেশের মাঠপর্যায়ের গবেষণা এবং ছয় মাস ধরে দূর থেকে পরিচালিত সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।