অনেকে আবার জোর দিয়ে বলেছেন, এই সম্ভাবনা কখনোই ‘বাস্তবসম্মত ছিল না’ এবং তা ‘এখনো সম্ভব নয়’।
এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক সুমন্ত্র বোস বিবিসিকে বলেন, এ ধারণাটি সম্পূর্ণরূপে অবাস্তব ও অচল। কয়েক দশক ধরেই ভারতের মানচিত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের পুরো অঞ্চলকেই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখানো হয়ে আসছে।’
সুমন্ত্র আরও বলেন, পাকিস্তানের জন্য নিয়ন্ত্রণরেখাকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ হবে কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের শর্ত অনুযায়ী মীমাংসা করা। সাত দশক ধরে বেসামরিক হোক কিংবা সামরিক—প্রতিটি পাকিস্তানি সরকার ও শাসকই এই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
২০০৩ সালে প্রকাশিত ‘কাশ্মীর: রুটস অব কনফ্লিক্ট, পাথস টু পিস’ বইয়ে অধ্যাপক সুমন্ত্র বোস লিখেছেন, ‘কাশ্মীর সমঝোতার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখাকে কাঁটাতার, বাংকার, পরিখা ও শত্রুভাবাপন্ন সেনাবাহিনীর লোহার পর্দার পরিবর্তে লিনেন কাপড়ের পর্দায় রূপান্তরিত করা প্রয়োজন। বাস্তব রাজনীতি বলছে, এই সীমান্ত চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে—হয়তো ভিন্ন নামে—তবু তাকে অতিক্রম করতে হবে, কিন্তু বিলোপ করে ফেলা যাবে না।’