ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জনগণের মধ্যে যে তিক্ততা ছড়িয়েছে, তার প্রতিফলন রিজার্ভ সেনাদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। তাঁদের অনেকেই এখন আর বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনে হাজির হচ্ছেন না। সরকারি ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না।
যেসব রিজার্ভ সেনা সরকারের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না, তাঁদের বেশির ভাগই ‘গ্রে রিফিউজার’ নামে পরিচিত; অর্থাৎ গাজায় গণহত্যার বিষয়ে তাঁদের মতাদর্শিক কোনো আপত্তি নেই। তবে তাঁরা অনির্দিষ্টকাল ধরে চলা যুদ্ধ সামাল দিতে গিয়ে পরিবার ও পেশা থেকে লম্বা সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ক্লান্ত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধে রিজার্ভ সেনাদের প্রকৃত অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি।
বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের সহযোগিতাকারী সংগঠন নিউ প্রোফাইল। সংগঠনটির এক মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনাদের মধ্যে কাজে যুক্ত না হতে চাওয়ার প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে। সাধারণত ইসরায়েল সরকারের নীতিতে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিবর্তন আনা হলে অস্বীকৃতির হার বাড়ে। উদাহরণস্বরূপ সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা কিংবা সরকারি বক্তব্য সম্পর্কে বলা যায়। শুরুতে ‘হামাসকে ধ্বংস’ বা ‘জিম্মিদের মুক্ত’ করাকে সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য বলে উল্লেখ করা হলেও কর্মকর্তারা এখন বলছেন যে গাজা দখল এবং সেখানে নিধনযজ্ঞই মূল লক্ষ্য।