খেলাধুলার সঙ্গে প্রেম
মৌসুমীর বাবা ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং নিজেও ক্রীড়ামোদী মানুষ। টেলিভিশনে খেলা দেখতেন নিয়মিত আর পাশে বসে সেই খেলা উপভোগ করতেন মেয়ে। এভাবেই তাঁর মধ্যে জন্ম নেয় ক্রীড়াপ্রেম। ‘দেখতাম, শহীদ আফ্রিদি কত কম বল খেলে হাফ সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি করে ফেলছে। শোয়েব আখতার, রিকি পন্টিং, ক্রিস গেইলের খেলা দেখে ভালো লাগত।’
মৌসুমীর বাবা শুধু খেলা ভালোবাসতেন না, নিজেও ছিলেন একজন ক্রীড়াবিদ। সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ভলিবলে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। পরে যশোর সেনানিবাসে কোচিং করিয়েছেন। গর্বভরে মৌসুমী বলেন, ‘আমার মনে হয়, সাতক্ষীরা অঞ্চলে ভলিবল খেলা জনপ্রিয় করতে আমার আব্বুর ভূমিকা অনেক। আব্বু-চাচারা সবাই ক্রীড়াপ্রেমী। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন সময় টুর্নামেন্ট হতো আর মানুষ খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠত। ছোটবেলা থেকেই এসব দেখে দেখে খেলাধুলার প্রতি আমার ভালোবাসা গড়ে উঠেছে।’
এই খেলাপ্রেম আজও তাঁর জীবনের বড় একটা অংশ হয়ে আছে।