লস্কর–ই–তাইয়েবা ও জইশ–ই–মুহাম্মদ, দুই সংগঠনের প্রতি পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক সমর্থনের মাত্রা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, সাম্প্রতিক অস্থিরতা দেশটির সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের কিছু সদস্যকে হয়তো এমন সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত করেছে। যেমনটা আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলো হুমকি অনুভব করলে দেখা গেছে।
তবে ট্যাঙ্কেল আরও জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি এক প্রবণতার দিকে ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখেন, এমন পর্যবেক্ষকেরা স্বীকার করেছেন, লস্কর–ই–তাইয়েবা শুধু পাকিস্তানের ভেতর হামলা চালানো থেকে বিরত থাকে, তা–ই নয়। তারা এমন গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেও কাজ করে, যারা রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।’
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘লস্কর–ই–তাইয়েবা বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও অন্য অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও কখনো তাদের নির্মূল করতেও সহায়তা করেছে। এমনকি রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে একটি আদর্শিক ও ধর্মতাত্ত্বিক প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করেছে সংগঠনটি।’